মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
মাওলানা মাহাদী হাসান (পলাশ):
সংকটময় মুহূর্তে অনেকেই হতাশ হয়ে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। অথচ আল্লাহতায়ালা কোরআনে ধৈর্যশীলদের অগণিত প্রতিদান দেওয়ার কথা বলেছেন। আল্লাহতায়ালা আরও বলেছেন, ‘তোমরা নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।’ (সুরা বাকারা ১০৩) হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, কতিপয় আনসারি লোক রাসুল (সা.)-এর কাছে সাহায্য চাইলে তিনি তাদের সাহায্য করেন। তারা আবার চাইলে তিনি তাদের আবার সাহায্য করেন। এমনকি তার নিকট যা কিছু ছিল সব শেষ হয়ে গেল। তিনি তাদের জন্য সবকিছু ব্যয় করার পরে তাদের বললেন, আমার কাছে কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। আমি তোমাদের থেকে কোনো কিছুকে জমা করে রাখিনি। যে ব্যক্তি পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহতায়ালা তাকে পবিত্র রাখেন। আর যে ব্যক্তি অমুখাপেক্ষী থাকতে চায়, আল্লাহতায়ালা তাকে অমুখাপেক্ষী রাখেন। আর যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করতে চায়, আল্লাহতায়ালা তাকে ধৈর্যধারণ করার সক্ষমতা দান করেন। আর ধৈর্যের চেয়ে উত্তম ও প্রশস্ত কোনো কিছু কাউকে দেওয়া হয়নি। (সহিহ বুখারি)
আতা ইবনে আবি বারাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, আমি কি তোমাকে জান্নাতি নারী দেখাব? আমি বললাম অবশ্যই। তিনি বললেন, এই কালো মহিলাটি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলেছে, আমি মৃগী রোগী। আমার শরীরের কাপড় খুলে যায়, যখন এতে আক্রান্ত হই। আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন। রাসুল (সা.) বললেন, তুমি যদি এর ওপর সন্তুষ্ট হয়ে ধৈর্যধারণ করো তাহলে এর পরিবর্তে তুমি জান্নাত পাবে। আর যদি তুমি চাও যে আমি তোমার জন্য দোয়া করি, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করব, তিনি তোমাকে সুস্থতা দান করবেন। সে বলল, আমি ধৈর্য ধারণ করব। কিন্তু আমার ছতর যে খুলে যায়, এটার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, যাতে না খোলে। তিনি সেটার জন্য দোয়া করলেন। (সহিহ বুখারি)
আমাদের জীবনে কোনো বিপদ এলে আমরা হাল ছেড়ে দিই। কিন্তু ধৈর্য মানবজীবনে পরীক্ষাস্বরূপ। এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, জানের ক্ষতি, সম্পদের ক্ষতি ও ফসলাদির ক্ষতি
দিয়ে। আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদের।
(সুরা বাকারা ১৫৫)
ভয়েস/আআ